আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি। তাই এর সঠিক খেয়াল রাখা জরুরি। এই অঙ্গটি হল দেহের ছাঁকনি। সব খারাপ পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিতে পারে এই অঙ্গ। এ ছাড়া বিভিন্ন হরমোন তৈরি থেকে শুরু করে প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

তবে আমাদের জীবনে তো ভুলভ্রান্তির শেষ নেই। এমন কিছু ভুল অনেক সময়ই হয়ে যায় যা শরীরকে সমস্যায় ফেলে। এমনকি খারাপ খাদ্যাভ্যাস থেকে কিডনিতে পাথরও হতে পারে। দেখা গেছে, কিডনিতে পাথর হওয়া রোগীদের চিনি, সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফসফরাস খাওয়া বারণ থাকে।

জানুন কোন কোন ভুলে কিডনিতে পাথর জমে।

ওজন বাড়লেই বিপদ​

ওজন স্বাভাবিকের গণ্ডি পেরিয়ে গেলে একাধিক জটিল অসুখের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। আর এই তালিকায় কিডনি স্টোনের মতো জটিল সমস্যাও রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

kidny-35

তাই এই ভয়াল অসুখের ফাঁদ এড়িয়ে চলতে চাইলে আপনাকে যেন তেন প্রকারেণ ওজন কমাতেই হবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস। তাই আজ থেকেই তেল সম্পৃক্ত খাবার এড়িয়ে ফল, শাক ও সবজি বেশি পরিমাণে খান।

লবণ ও চিনি এড়িয়ে চলুন 

আমাদের মধ্যে অনেকের ডায়েটেই লবণ ও চিনির আধিক্য থাকে। আর জানলে অবাক হবেন, এই দুটি উপাদানই কিন্তু কিডনি স্টোন বাঁধাতে পারে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চিনিতে রয়েছে ফ্রুকটোজ নামক একটি উপাদান। আর এই উপাদান কিডনিতে স্টোন তৈরিতে সাহায্য করতে পারে। ঠিক একইভাবে অতিরিক্ত লবণ খেলে কিডনিতে ক্যালশিয়াম জমা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই সুস্থ থাকতে লবণ-চিনি খাওয়া কমান।

প্রাণিজ প্রোটিনই সমস্যার কারণ​

ডিম, মাছ, মাংস খেতে খুব ভালোবাসেন? তাহলে যত দ্রুত সম্ভব শুধরে যেতে হবে। কারণ এই ধরনের প্রাণিজ প্রোটিন বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে বাড়তে পারে ইউরিক অ্যাসিড লেভেল। যার ফলে কিডনিতে স্টোন হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে বৈকি! তাই সুস্থ থাকতে এই ধরনের প্রাণিজ প্রোটিন খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে। এই নিয়মটা মেনে চললেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।

kidny3

পানির ঘাটতি হলেই মুশকিল​

আমাদের মধ্যে অনেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন না। আর এই ভুলটা করেন বলেই তাদের কিডনিতে স্টোন হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই এই ভয়াল অসুখের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে চাইলে আপনাকে প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৩ লিটার পানি পান করতে হবে। এই কাজটি করলেই প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়বে। যার ফলে ইউরিনের মাধ্যমে বেরিয়ে যাবে স্টোন সৃষ্টিকারী সব উপাদান।